মানসিক দুশ্চিন্তা, চাপ ও অশান্তি কি?
প্রতিদিন নানা ধরনের কাজে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। নানান কাজের চাপ ও চিন্তা নিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক সবসময়ই ব্যস্ত থাকে। কখনো দেখা যায় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা ভাবতে থাকি, কিভাবে সে বিষয়টি আমরা সঠিকভাবে পরিপূর্ণ করতে পারবো। আবার কখনো আমাদের মস্তিষ্ক কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু করে। এই দুশ্চিন্তা থেকে মানসিক চাপের সূত্রপাত ঘটে, আর অতিরিক্ত মানসিক চাপ পরবর্তীতে মানসিক অশান্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলশ্রুতিতে নির্ধারিত কাজ যেমন সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না, ঠিক তেমনি শারীরিক মানসিক নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়। কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করা, আর দুশ্চিন্তা করা এক বিষয় নয়। কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ কিছু নিয়ে চিন্তা করার মাধ্যমে সেখান থেকে একটা ভালো ফলাফল আসতে পারে। তবে দুশ্চিন্তা করলে সেখান থেকে বরং নেতিবাচক বিষয়গুলির উৎপত্তি হয়। মানসিক অশান্তি ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক এমনকি নিজের ক্যারিয়ারেও হুমকির কারণ হতে পারে। তাই জীবনে চলার পথে মানসিক এই সমস্যাগুলোর কারণ, লক্ষণ, প্রভাব এবং প্রতিকার সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কেন এবং কখন মানসিক অশান্তি হয়ঃ
ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন মানসিক অশান্তির সাথে আরো দুটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা হল অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও দুশ্চিন্তার ফলে মানসিক চাপ। আমরা বিষয়টিকে যদি পর্যায়ক্রমিকভাবে সাজাতে চাই তাহলে উৎপত্তিস্থল হচ্ছে মানসিক দুশ্চিন্তা তার থেকে তৈরি হয় মানসিক চাপ এবং পরবর্তীতে তা মানসিক অশান্তিতে রূপান্তরিত হয়। আপনি যখন এই লিখাটি পড়ছেন তখন হয়তো আপনার মস্তিষ্কে কোন একটি বিষয়ে চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে বা মানসিক অশান্তিতে আছেন। কিন্তু কেনো এবং কখন মানসিক অশান্তিটা অনুভূত হচ্ছে সেটা কি ভেবে দেখেছেন?
০১/ আমাদের মাঝে অনেকেই কাছের মানুষের সাথে মনোমালিন্য কিংবা মতের অমিল হলে সেটি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা ভাবনা শুরু করে দেন।
০২/ অনেক সময় কোনো ব্যবহারের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তার শুরু করেন। যার ফলে নিজের অজান্তেই নিজের উপর মানসিক চাপের কারণ সৃষ্টি করেন। ধীরে ধীরে মানসিক অশান্তিতে পরিণত হয়।
০৩/ আবার অনেকেই বিনা কারণে ভাবেন আশেপাশের মানুষ তাকে কিভাবে দেখছে, কিভাবে মূল্যায়ন করছে বা কি ভাবছে। যার থেকে তার মস্তিষ্কে মানসিক চাপ অনুভূত হয়।
০৪/ কারো সাথে কোন বিষয়ে তর্ক করলে কিংবা তর্কে হেরে গেলে, দিনভর অহেতুক চিন্তা করতে থাকেন কী করলে বা কি বললে আপনি তর্কে জিততে পারতেন।
০৫/ কেউ আপনাকে কিছু বললে, কোনো বিষয়ে উপদেশ দিলে আপনি তার নেপথ্যের বিষয়গুলো নিয়ে অহেতুক চিন্তা করতে থাকেন।
০৬/ সব সময় আপনার মনের মধ্যে এমন নেতিবাচক চিন্তা আসে যে, আপনার সহকর্মী, সহপাঠী কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীরা আপনার চাইতে দক্ষতা এবং সফলতার দিক থেকে অধিক পারদর্শী।
০৭/ কোনো কিছু পরিকল্পনা করতে বা কোনো কিছু বাস্তবায়ন করতে গেলে আপনি সবসময়ই “যদি, কিন্তু, অথচ” এর বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েন।
এছাড়াও ব্যক্তিবিশেষে নানা কারণে একজন মানুষের মনে মানসিক অশান্তির উদ্ভব হতে পারে।
মানসিক চাপ বা অশান্তির লক্ষণঃ
কোন ব্যক্তি মানসিক অশান্তিতে থাকলে তার মাঝে কিছু মনস্তান্তিক ও শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। মনস্তান্তিক লক্ষণ গুলো যেমন,
০১/ সহজেই কোন কিছু ভুলে যাওয়া,
০২/ সহজেই কোনো সাধারণ বিষয়ে রেগে যাওয়া এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা,
০৩/ কোনো বিষয় নিয়ে অযথা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা,
০৪/ কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যাওয়া,
০৫/ যেকোনো কাজের প্রতি উৎসাহ উদ্দীপনা হারিয়ে ফেলা,
০৬/ বিচার বুদ্ধি লোপ পাওয়া,
০৭/ মানুষের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটা,
০৮/ মন খারাপ বা বিষণ্ন হয়ে বসে থাকা,
০৯/ একঘেয়ে অনুভব করা।
মনস্তাত্ত্বিক এ বিষয়গুলোর পাশাপাশি শারীরিক যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে তা হল,
০১/ মাথা ব্যথা করা এবং মাথা ঘুরানো
০২/ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া,
০৩/ বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ হওয়া,
০৪/ মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব হওয়া,
০৫/ দুর্বল লাগা এবং হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসা,
০৬/ পেট ফাঁপা, পেটে সবসময় ব্যাথা অনুভব করা ও বুক এবং পেট জ্বালা করা,
০৭/ হজমের সমস্যা হওয়া,
০৮/ খাওয়া-দাওয়া অরুচি তৈরি হওয়া,
০৯/ কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া কিংবা বমি বমি ভাব অনুভূত হওয়া,
১০/ঘুমের সমস্যা হওয়া,
১১/ হাত পা ঘামা ও মৃদু কম্পন অনুভূত হওয়া,
১২/ মুখ শুকিয়ে যাওয়া,
১৩/ রক্তচাপ বেড়ে বা কমে যাওয়া।
কারোর মাঝে এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলেই যে তিনি মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন ব্যাপারটা এমন নয়। এমনও হতে পারে যে অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক সমস্যা সনাক্তকরণ করে, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মানসিক চাপ বা অশান্তির প্রভাবঃ
যেহেতু আমাদের শরীরের প্রায় সব কিছুই মস্তিষ্ক দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই মস্তিষ্কে বা মনে অশান্তি থাকলে সকল কাজেই তার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
০১/ সৃজনশীলতার অবক্ষয়ঃ
বর্তমান সময়ে সৃজনশীলতার মূল্য অনেক। আমরা সবসময়ই নতুন কিছু বা আলাদা কিছুই প্রতি আকৃষ্ট হই। কিন্তু অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের ফলে, মস্তিষ্কের সৃজনশীল চিন্তা করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। কেননা মানুষ যখন মানসিক চাপ ও অশান্তিতে থাকে তখন তার মস্তিষ্কে কোনো কিছু আলাদাভাবে বা নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা রাখেনা। যার ফলে সেই সময় মস্তিষ্ক কোনো নতুন উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে ভাবতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে কোনো ব্যক্তি মানসিকভাবে অশান্তিতে ভুগলে তার মাঝে ইতিবাচক চিন্তার চাইতে নেতিবাচক চিন্তাই বেশি আসে।
০২/ কর্মশক্তির হ্রাসঃ
আমরা শারীরিক বা মানসিক যে কাজই করি না কেন, আমাদের শক্তির খরচ হয় অর্থাৎ ক্যালোরি ব্যবহার করি। যখন কোনো মানুষ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা শান্তিতে থাকেন তখন তার শরীরের ক্যালরি বা শক্তি অযথা ও অহেতুক চিন্তার পেছনেই বেশি খরচ হয়ে যায়। যার ফলে একজন মানসিক অশান্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সারাদিনের নির্ধারিত কাজগুলো সঠিক সময়ে সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অধিকাংশ সময়ই ব্যর্থ হন।
০৩/ খাওয়া-দাওয়া অরুচিঃ
ব্যক্তি বিশেষে খাওয়া-দাওয়ার রুচির পরিবর্তন টা ভিন্ন হতে পারে অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি মানসিক অশান্তিতে ভুগলে তার খাবার রুচি বেড়ে যেতে পারে আবার কমেও যেতে পারে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ বা পরিমাণের চাইতে কম খাবার গ্রহণ আমাদের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এমতাবস্থায় আমাদের মস্তিস্ক এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি পায় না যার ফলে অনেকেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
০৪/ ঘুমের সমস্যাঃ
মনস্তান্তিক যে কোন সমস্যা বা বিষয়ের সাথেই আমাদের ঘুমের বিষয়টা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অর্থাৎ আমরা যখন মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকি এবং আমাদের মন যখন ভালো থাকেন তখন আমরা অনেক ভালো ঘুম হয়। অপরদিকে যখন আমরা অশান্তিতে থাকি তখন নানান দুশ্চিন্তায় ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনা। এর প্রভাব আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করে থাকি। ভালো ঘুমের ফলে আমাদের মন যেমন ফুরফুরে থাকে, ঠিক তেমনি কর্মস্পৃহাও বৃদ্ধি পায়।
০৫/ ভাবতে ভাবতেই দিন ফুরালো, কর্ম হলো না সাধনঃ
জীবনের অনেক সময় আমরা অনেকেই এ বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। অনেক সময় নিজের উপর বিরক্তও হয়ে যাই এর কারণে। দেখা যায় কোনো একটি বিষয় নিয়ে অযথাই ভাবতে ভাবতেই আমাদের দিন পার হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে আমরা ওই কাজটি পূর্ণ করব সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই আমরা নিতে পারি না। অতিরিক্ত চিন্তা ও অশান্তির ফলে কোনো একটি বিষয় নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করতে থাকি। এটা করলেই কি হবে বা কি হবে না, কে কিভাবে বিষয়টি গ্রহণ করবে, সবাই এই বিষয়টি নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবেনা তো !এসকল অহেতুক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কারণে আমাদের যেমন মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায় একইসাথে বৃদ্ধি পায় মানসিক অশান্তিও। ভাবতে ভাবতেই দিনের পর দিন শেষ হয়ে যায়, লক্ষ্য আর পূরণ হয় না।
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তির উপায়ঃ
আপনি যদি মনে করেন আপনি একাই এই সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। আপনার আশেপাশে আরও অনেক মানুষ আপনার মত একই সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক অশান্তিতে ভুগলে সেটি নিয়ে আরো বেশি দুশ্চিন্তা না করে বরং সমস্যার সমাধানে কাজ করা উচিত। চলুন জেনে নেই কিভাবে মানসিক অশান্তি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
০১/ নিজেকে চিনুন ও জানুনঃ
নিজের সম্পর্কে নিজের জানাটা খুবই জরুরী। অর্থাৎ কোন বিষয়টা আপনাকে পীড়া দিচ্ছে অথবা কোন বিষয়ের কারণে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন সেটি জানা খুবই জরুরী। আবার কোন কাজগুলো করলে আপনি মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন, আর কোন কাজগুলো আপনাকে মানসিক শান্তি দিচ্ছে সে বিষয়টি চিহ্নিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি চিহ্নিত করতে পারলে আপনার মানসিক অশান্তি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
০২/ বুঝে-শুনে চিন্তা করুনঃ
সারাদিনে আমাদের মস্তিষ্কে নানা ধরনের চিন্তা আসতে থাকে। তবে কিছু কিছু চিন্তা একেবারেই অবান্তর এবং অহেতুক। এসকল চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। চেষ্টা করুন রুটিনমাফিক নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে। মস্তিস্ককে কোন চিন্তায় কাজে লাগাবেন এবং কোন চিন্তা থেকে বিরত থাকবেন সে ব্যাপারে নিজে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দৃঢ় হোন।
০৩/ অসম্ভব প্রতিশ্রুতি থেকে বিরত থাকুনঃ
আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা নানান কাজ সম্পন্ন করার জন্য অবাস্তব ও অসম্ভব প্রতিশ্রুতি করে বসেন। ফলশ্রুতিতে দিনের পর দিন অপরিপূর্ণ এসকল প্রতিশ্রুতি তার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করে। অসম্ভব প্রতিশ্রুতিগুলোর ফলে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এবং কলহ সৃষ্টি হয়। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক অশান্তির উৎপত্তি ঘটে।
০৪/ সামাজিক দক্ষতাঃ
আমরা সবাই এটা অবগত যে মানুষ সামাজিক জীব। জীবনে চলার পথে আমাদের মানুষের সাথে মেলামেশা করতে হয়। কিন্তু নানান সময়ে মানুষের নানান মন্তব্য বা আলোচনা আমাদের মাঝে এক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসকল অবান্তর ও অহেতুক চিন্তার ফলে নিজের অজান্তেই আমার মানসিক অশান্তির ভুগতে শুরু করি। তাই চেষ্টা করবেন মানুষের সকল কথা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করতে।তবে কেউ যদি আপনার ভালোর জন্য কোন উপদেশ দেয় তা অবশ্যই গ্রহণ করুন।
০৫/ একসঙ্গে অনেক কাজ না করাঃ
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই মাল্টিটাস্কিং করতে চাই। মাল্টিটাস্কিং আর একসঙ্গে অনেক কাজ করা এক বিষয় নয়। আপনি আপনার কাজ গুলোকে বিভিন্ন স্তরে এবং গুরুত্বে ভাগ করে নিন এবং প্রত্যেকটি কাজকে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করুন এর ফলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। কোনো কাজ অসম্পূর্ণ থাকবে না ফলে দুশ্চিন্তা যেমন সৃষ্টি হবে না ঠিক তেমনি মানসিক অশান্তি থেকেও মুক্ত থাকবেন।
এছাড়াও দৈনিক হালকা ব্যায়াম, মেডিটেশন, পরিবারের সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা, মানসিক চাপ বাড়াতে পারে এমন বিষয়গুলো পরিত্যাগ করা, নিজেকে যথাসম্ভব রিল্যাক্সড রাখা, মানুষের মাঝে নিজে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলা, পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো, বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটানো, নিজেকে বাস্তববাদী হিসেবে গড়ে তোলা, নিজেকে বিভিন্ন ভালো কাজে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমেও মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আমরা সবাই নানান সময়ে মানসিক অশান্তিতে ভুগে থাকি। কারো ক্ষেত্রে এর পরিমাণ অনেক বেশি, কারও ক্ষেত্রে এটি একেবারেই নগণ্য। মানসিক অশান্তিতে ভুগলে হতাশ না হয়ে, বরং মানসিক অশান্তি তৈরি হওয়ার কারণটা সনাক্তকরণ করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কোন বিষয়গুলো আপনাকে মানসিক শান্তি প্রদান করতে পারে। প্রয়োজনে আপনি বন্ধুদের সাথে কিংবা প্রিয়জনের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। অনেক সময় আমাদের নিজেদের চাইতে আমাদের বন্ধুরা আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছু ভালো জেনে থাকে। তার পরেও যদি আপনার মনে হয় আপনি এসকল বিষয় থেকে উপকৃত হচ্ছেন না, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
“সুস্থ থাকুক প্রতিটি দেহ, শান্তিতে থাকুক প্রতিটি মন”