বিষন্নতা / DEPRESSION মূলত কীঃ
বিষন্নতা বা Depression শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে খুব সহজেই যে কয়টি শব্দ চলে আসে তা হলো, মন খারাপ থাকা বা দুঃখ ভারাক্রান্ত ধাকা। আমরা অনেকেই বিষণ্ণতাকে অন্যান্য মানবিক অনুভূতি দুঃখ-কষ্ট, রাগ, বিরক্তি গুলোর মতোই আরেকটি অনুভূতি হিসাবে গণ্য করি। তবে কোন ব্যক্তির মন খারাপ থাকলে বা সে দুঃখভারাক্রান্ত থাকলেই যে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছেন ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং আবেগ অনুভূতির উপর নির্ভর করে একজন মানুষের মাঝে বিষন্নতা সৃষ্টি হতে পারে। মনোবিদ ডাঃ মেখলা সরকার এর মতে “বিষন্নতা মানুষের মনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একজন মানুষ কোন বিষয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া বা এ ধরনের নানা কারণে মনে বিষন্ন হতে পারে। কিন্তু যখনই রোগ হবে সেটা একটু ভিন্ন। বিষন্নতা হতে পারে বিভিন্ন মাত্রা কিংবা গভীরতায়। মনে রাখতে হবে টানা দুই সপ্তাহ মন খারাপ থাকা বা আগে যেসব বিষয়ে আনন্দ লাগত সেসব স্বাভাবিক কাজগুলোতে আনন্দ না পাওয়ার মতো হলে এটিকে বিষন্নতার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।” মনোচিকিৎসক ডাঃ মুনতাসীর মারুফ মনে করেন, “একজন মানুষের মধ্যে যেকোনো আবেগ গত পরিবর্তন অনেকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে এবং সেটার দৈনিক কাজ কে প্রভাবিত করছে তখনই আপনাকে সতর্ক হওয়া উচিত।”
বিষন্নতা, দুঃখ বা চিন্তার মতো সামরিক নয় বরং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এ সমস্যাটি যেমন খুব দ্রুত গড়ে ওঠে না, আবার সমস্যাটার সমাধানও খুব দ্রুত পাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে পৃথিবীতে যে পরিমাণ মানুষ বিষন্নতায় ভুগছে, তা বিশ্বে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪ ভাগ এর চেয়েও বেশি। গবেষক ও চিকিৎসকরা মনে করেন সাধারণত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তার জীবনের কোন একটা সময়ে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়েছেন বা ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মনে করে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বিষন্ন থেকে বড় সংকট তৈরি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিষণ্নতা আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ শতাংশ মানুষের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা থাকে।
বিষন্নতা বুঝার উপায়ঃ
আমেরিকান সাইক্রেটিক অ্যাসোসিয়েশন বিষণ্ণতার ৯ টি লক্ষণ চিহ্নিত করেছে। তাদের মতে এই ৯টি লক্ষণের অন্তত ৫ টি লক্ষণ টানা দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে যদি কারো মাঝে পরিলক্ষিত হয়, তাহলে বলা যাবে সেই ব্যক্তি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়েছেন। লক্ষণ গুলো হলোঃ
০১/ দিনের অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকা,
০২/ যে সকল কাজে পূর্বে আনন্দ পেত সে সকল কাজে আনন্দ ও আগ্রহ হ্রাস পাওয়া,
০৩/ অস্বাভাবিকভাবে ঘুম কমে বা বেড়ে যাওয়া,
০৪/ খাদ্যগ্রহণে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া,
০৫/ ওজন কমে বা বেড়ে যাওয়া,
০৬/ কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হয়ে যাওয়া,
০৭/ নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা কোন কিছুর জন্য নিজেকে দায়ী বা দোষী মনে করা,
০৮/ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা বা মনোযোগ কমে যাওয়া,
০৯/ বিষন্নতা খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার পরিকল্পনা ও চেষ্টা করা।
এছাড়াও চিকিৎসকগণ কিছু শারীরিক উপসর্গের কথা উল্লেখ করে থাকেন। যেমন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, হাত পা জ্বালাপোড়া করা, মাথা ব্যথা করা, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া ইত্যাদি।
কি কারনে মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ঃ
বিভিন্ন কারণে একজন মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিষণ্ণতা ধীরে ধীরে বা পর্যায়ক্রমিকভাবে একজন মানুষের মাঝে পরিলক্ষিত হয়। একজন মানুষের মানসিক অবস্থার ওপর বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাব একজন মানুষকে বিষন্নতাগ্রস্থ বা আক্রান্ত করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে জিন গত ত্রুটির সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জেনেটিক কারণে অনেকেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বায়োলজিক্যাল বিভিন্ন অসুখ বিসুখ, নেতিবাচক মানসিক গঠন ফলে যে কেউ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তাছাড়া একজন ব্যক্তির আশেপাশের পরিবেশ এবং সেই পরিবেশের সাথে তার খাপ খাইয়ে নেয়ার যোগ্যতা ও মানসিক দৃঢ়তা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও জীবনের বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কের অবনতি, বিরোধ এবং প্রিয় কোন মানুষের অসুস্থতা বা মৃত্যু বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়াও আশেপাশের সব কিছু ঠিক থাকলেও মানুষের মানসিক নানান দুশ্চিন্তা ও অন্তর্গত জৈবিক ক্রিয়া-কলাপের ব্যত্যয় ঘটলে বিষন্নতা সৃষ্টি হতে পারে।
বিষন্নতায় নেতিবাচক ও পক্ষপাতমূলক চিন্তাভাবনাঃ
আমাদের মস্তিষ্ক কখনোই বেকার বসে থাকে না। আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে ভালো কোন কিছু চিন্তা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করি বা অযথাই অনর্থক চিন্তা ভাবনায় মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখি। অনেক সময়েই সকল চিন্তা ভাবনা আমাদের নিজেদের অজান্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অর্থাৎ অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা এমন কিছু চিন্তা করি যা আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। মন খারাপ, দুঃখ বা বিষণ্ন বা Depressed অবস্থায় আমাদের চিন্তা ভাবনার ধরন পাল্টে যায়। অর্থাৎ আমরা যখন বিষন্ন থাকি তখন অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা আবেগের বশবর্তি হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিষন্ন থাকা অবস্থায় আমরা অনেক সময় এমন সিদ্ধান্ত নেই যা আমাদের প্রাণহানির বা বড় কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিষন্ন অবস্থায় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত।
সমস্যা সমাধানে করণীয়ঃ
বিভিন্ন কারণে একজন মানুষ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বিষণ্নতা কিংবা যে কোনো রোগ দেখা দিলে সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে না দেখে কিংবা এড়িয়ে না চলে, সেটি নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক, কি কি পন্থা অবলম্বন করার মাধ্যমে বিষন্নতা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
০১/ বিষন্নতার কারণ চিহ্নিত করাঃ
যে কোনো রোগ বা সমস্যার ক্ষেত্রে সমস্যার আসল কারণ চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখনই আপনার কাছে অনুভূত হবে আপনি বিষণ্নতায় ভুগছেন, তখনই চিহ্নিত করে ফেলতে হবে প্রকৃতপক্ষেই কি আপনি বিষণ্নতায় ভুগছেন নাকি একটি আপনার সাময়িক কোন অনুভূতি। অধিকাংশ সময়ে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না তারা আসলে কি কারনে বিষণ্ণতায় ভুগছেন। বিষন্নতার যথাযথ কারণ নির্ণয় করতে না পারার কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। তাই বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শুরুতেই আপনাকে নিজ থেকে বা চিকিৎসকের সহায়তায় বিষন্নতার কারণ অনুসন্ধান করে বের করতে হবে।
০২/ শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্নঃ
লোকমুখে আমরা প্রায়ই শুনি স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। একজন বিষন্ন মানুষকে খেয়াল করলে আপনি তার চেহারায় বিষণ্ণতার ছাপ লক্ষ্য করতে পারবেন। কেননা মানুষ যখন বিষণ্ণতায় ভুগে তখন তারা নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান। ফলশ্রুতিতে খাওয়া-দাওয়ায় ব্যাপক ঘাটতি পরে। তাই সবসময় শরীরের যত্ন নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য এবং পানীয় গ্রহণ করতে হবে। শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে একই সাথে মনের প্রফুল্ল তার জন্য শরীরচর্চা করতে হবে। কেননা শারীরিক ব্যায়াম যেমন মানুষের শরীরকে যেমন সুস্থ রাখে, ঠিক তেমনি মনকেও ভালো রাখে। কারণ শারীরিক পরিশ্রম করার ফলে মানুষের দেহ থেকে “এন্ডোরফিন” নামক হরমোনের প্রভাব বেড়ে যায়। যা মানুষের ভাললাগাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে “ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড” থাকে, যা নিয়মিত গ্রহণ করলে বিষণ্নতা নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
০৩/ নতুন অভিজ্ঞতা গ্রহণঃ
নতুন যেকোনো ভালো অভিজ্ঞতাই আমাদেরকে বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। মনের উপর জোর খাটিয়ে কোন কিছু করলে, কখনোই সেটা থেকে দীর্ঘমেয়াদি ভালো কোনো ফল পাওয়া যায় না। তাই খুঁজে বের করুন আপনি কোন কাজটি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কিংবা অনেকদিন ধরেই কোন কাজটি করতে চাচ্ছিলেন,সেটিও চাইলে করে দেখতে পারেন। নতুন কিছু করা বা নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া কিংবা নতুন কোনো ভালো অভিজ্ঞতা বিষন্নতা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে।
০৪/ রুটিন তৈরি করাঃ
রুটিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজগুলোকে একটি সুনির্দিষ্ট ছক বা কাঠামোতে নিয়ে আসে। যার ফলে আমরা সহজেই দিনের প্রত্যেকটি সময় কে সুনির্দিষ্ট কোন কাজে অতিবাহিত করতে পারি। এর ফলে আমাদের কাজের গতিশীলতা যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি আমরা খুব স্বাচ্ছন্দে কোন কাজ করতে পারি। প্রতিদিন কোন নতুন কিছু করার বা শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময় মধ্যে সেই লক্ষ্য পূরণ করার। লক্ষ্য পূরণ করার পর দেখবেন আপনি অন্যরকম একটি মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছেন। ধীরে ধীরে যা আপনাকে বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
০৫/ প্রিয়জনের সাথে সময় অতিবাহিত করাঃ
আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বা বেদনার এই অনুভূতিগুলো উপর আমাদের প্রিয়জনের বড় প্রভাব রয়েছে। প্রিয়জনদের ইতিবাচক, আন্তরিক ও যত্নশীল আচরণ আমাদেরকে যেমন আনন্দিত করে, ঠিক তেমনি আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে।খেয়াল করলে আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন, আন্তরিক আচরণের ফলে ধীরে ধীরে আপনার মন থেকে বিষন্নতায় কারণে আসা নেতিবাচক চিন্তা চেতনা এবং আচার-আচরণের পরিবর্তন ঘটছে।
এছাড়াও আপনি চাইলে, প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য হলেও মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রীতি অনুযায়ী ধর্মীয় বিভিন্ন কাজে নিজেকে সংযুক্ত করতে পারেন। একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের দায়িত্ব গুলো পালনের ব্যাপারে সচেতন হতে পারেন। কোন কাজগুলো করতে আনন্দ অনুভব করেন বা কোন কাজগুলো আপনাকে খুশি রাখে সেগুলো বেশি বেশি করে করতে পারেন। সম্ভব হলে নিজের অতীতের কোনো আনন্দঘন ঘটনা অন্যের সাথে আলোচনা বা গল্প করতে পারেন। বিষন্নতায় ভুগছে এমন অধিকাংশ মানুষই একঘেয়ে হয়ে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় তারা একটি গন্ডির মধ্যে নিজেকে আটকে ফেলে। আপনি চাইলে ঘরের বাইরে কোন বাগানে বা প্রকৃতির সংস্পর্শে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকলে ছাদে কিংবা ঘরেই হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। আমাদের অনেকেরই কমবেশি ডাইরি লেখার অভ্যাস আছে। আপনি চাইলে নিজের বিভিন্ন অনুভূতি,ভালো লাগার মুহূর্ত গুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতে পারেন এবং অবসর সময়ে চাইলে পূর্বের লেখাগুলো পড়ে নিজেই নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। তবে খারাপ বা অনাকাঙ্খিত তিক্ত অনুভূতিগুলোকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তারপরও আপনি যদি কোনো ভাবেই বিষন্নতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজেকে গুটিয়ে না রেখে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজন অনুসারে ঔষধ গ্রহন করা উচিত।
ইতিকথাঃ
আমরা যে কেউই যেকোনো সময় বিষণ্নতায় ভুগতে পারি। এটি লুকিয়ে রাখা কিংবা আড়াল করার মতন কোনো বিষয় নয়। বিষন্নতায় ভুগলে আপনার বিশ্বস্ত প্রিয়জনকে নিজের সমস্যার কথা গুলো খুলে বলুন। চেষ্টা করুন বিষন্নতার কারণ গুলো খুঁজে বের করে সেটা সমাধানের পথ বের করার। কখনোই নিজের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে, জোর করে কোন কিছুতে আনন্দ অনুভব করার চেষ্টা করবেন না। শরীরের যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে মনেরও যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রেও সর্বদা সচেতন থাকবেন। যদি মনে করেন নিজেই নিজের মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা সমাধান করতে পারছেন না তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি আশেপাশে থাকা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থাকাটাও আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখবেন আপনি নিজে যেন বিষন্নতায় না ভুগেন এবং আপনার আচার ব্যবহারে অন্য কেউ যেনো বিষণ্ণতায় না ভুগে।