ডিমেনশিয়া এক ধরনের মানসিক রোগ। এ রোগে মানসিক সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ডিমেনশিয়া সাধারনত ৬০ বছর বয়সের পর হয়ে থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এটি আরো আগেও হতে পারে। ডিমেনশিয়া রোগীদের সাধারনত মানসিক ও আচরনগত সমস্যা দেখা দেয়।পরিবারের সদস্যদের অবহেলার কারনে অনেক সময় এ রোগটি লোক চক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।সঠিক রোগ নির্নয় ও চিকিৎসা দিতে পারলে ডিমনেশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন যাত্রায় সার্বিক পরিবর্তন আনা সম্ভব।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণসমূহ–
১.কোন কাজ করে ভুলে যাওয়া
২.পরিচিত মানুষকে চিনতে না পারা
৩. জানা কাজ করতে না পারা
৪. ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন হওয়া
৫. নিদ্রাহীনতার সমস্যা হওয়া
মানসিক সমস্যার লক্ষণসমূহ–
১. বিষন্নতা
২. মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা
৩. সব সময় মনে করা যে আশেপাশের মানুষ তাকে নিয়ে কথা বলছে
আচরনগত সমস্যা–
১. অস্থিরতা
২. হঠাৎ রেগে যাওয়া
৩. কাউকে কিছু না বলে বাইরে কোথাও চলে যাওয়া
৪. ক্ষুধা কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
৫. ঘুম কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া
৬. পরিচর্যাকারীকে যত্ন নিতে বাঁধা দেওয়া
কাদের এ রোগ কম হয়?
কর্মক্ষম ব্যক্তিদের এবং যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে তাদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রাদুর্ভাব কম দেখা যায়।
ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিসমূহ–
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং আগে কখনও স্ট্রোক থাকলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পরিচর্যাকারীদের করনীয়–
১. রোগের লক্ষণ দেখা দিলে মানসিক রোগ বিভাগে যোগাযোগ করা।
২. ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো।
৩. রোগীর জন্য একজন নিদির্ষ্ট পরিচর্যাকারী নিয়োজিত করা।
৪. নিদির্ষ্ট সময় পর পর বাথরুমে নিয়ে যাওয়া।
৫. রোগীকে তার চেনা জায়গা থেকে না সরানো।
৬. ধারালো জিনিস পত্র সরিয়ে রাখা।
৭. বাথরুম ও বাইরে যাওয়ার দরজায় নিদির্ষ্ট চিহ্ন দিয়ে রাখা।
৮. রোগীর নাম, ঠিকানা,ফোন নম্বরসহ একটি কাগজ রোগীর সাথে রাখা।
৯. নিয়মিত সূর্যের আলোতে কিছু সময় রোগীকে রাখা।
১০. পরিমিত শাকসবজি খাওয়ানো ও পানি পান করানো।