স্বাস্থ্য বলতে আমরা অনেকেই শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যকে বুঝে থাকি। একটু জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই হয়তো ডাক্তারের কাছে যাই। কিন্তু স্বাস্থ্য বলতে শুধু শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও বুঝানো হয় এবং এর একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের শরীর ভাল না থাকলে (যেমন জ্বর বা সর্দি লাগলে) মনের উপর কিন্তু এর প্রভাবে পড়ে। আবার মন ভাল না থাকলে (কোন কারণে দুশ্চিন্তায় থাকলে) আমাদের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে, ঠিক সময়ে ওই কাজটি করতে পারি না। তাই স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে শুধু শারীরিক দিকটি লক্ষ্য করলে হবে না, মানসিক দিকটিও খেয়াল রখতে হবে।

 

আমাদের যেমন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে ( জ্বর, সর্দি, কাশি,ডায়াবেটিকস, ক্যান্সার ইত্যাদি) তেমনি বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যাও হতে পারে ( দুশ্চিন্তা, হতাশা, শুচিবাই…… এমনকি সিজোফ্রেনিয়া)। শারীরিক সমস্যার জন্য যেমন বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা আছে তেমনি মানসিক সমস্যার জন্যও নানা ধরনের চিকিৎসা সেবা রয়েছে। মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশাজীবীরা সেবা দিয়ে থাকেন যেমন: মনোরোগবিদ, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট ইত্যাদি। মনোরোগবিদরা মূলত ওষুধ দিয়ে থাকে। আর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্টরা মূলত সাইকোথেরাপি দিয়ে থাকেন। সাইকোথেরাপি হচ্ছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কথা বলার মাধ্যমে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করা। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায়। তাই আসুন, শারীরিক সমস্যার চিকিৎসার সাথে সাথে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা সেবা নেই।

 

Liza Akter

Scroll to Top