বর্তমান বিশ্বে আত্মহত্যা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।খবরেরকাগজ খুললে এখন একটা না একটা আত্মহত্যার নিউজ পাওয়া যাবেই।বাংলাদেশে প্রতিবছরই ১০,০০০+নারী-পুরুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয় অর্থাৎ প্রতিদিনের হিসেবে ৩০+ জন আত্মহত্যা করছে।(২০১৭ সালের আত্মহত্যার রেফারেন্স অনুসারে)। তার মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি।সাধারণত পুরুষেরা আত্মহত্যার জন্য শ্বাসরোধ,অতিরিক্ত মাদকসেবন,ফাঁসি,আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার করে।আর নারীরা শরীর কেটে,ঘুমের ওষুধ খেয়ে,বিষ খেয়ে,গায়ে আগুন লাগিয়ে,ফাঁসির মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।ফাঁসির মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা সবচেয়ে বেশি করা হয়ে থাকে।তার মধ্যে ৮০% নারী-পুরুষই মারা যায়।

যাদের বয়স ১৫-২৪বছর তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি।আবার যাদের বয়স ৮০ এর উপরে তাদের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা যায়। কারাবন্দীদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি।

কারণ:

আত্মহত্যার জন্য কিছু মানসিক রোগ দায়ী। তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা।এছাড়াও রয়েছে

★বাইপোলার ডিজঅর্ডার

★সিজোফ্রেনিয়া

★অ্যালকোহল এবিউজ

★দূর্বল ফ্যামিলি রিলেশনশিপ

★জীবনের প্রতি নিরাশ হওয়া

★আপন কাউকে হারানো

★অসহনীয় মনোঃকষ্ট ইত্যাদি

 

যারা আত্মহত্যার পথে এগুচ্ছে তাদের মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়।

যেমন;

★সবসময় বিষণ্ণতায় ভুগবে

★পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ পরিত্যাগ করে চলবে

★আশাহীন হয়ে যাবে

★চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে কোন আগ্রহ দেখাবে না।

★স্বাস্থ্যের প্রতি অমনোযোগী হয়ে যাবে

★নিজের মতামতকে সবসময় প্রাধান্য দিবে।

★পূর্বে আত্মহত্যার চেষ্টা করা ইত্যাদি।

এসব লক্ষণ কারো থেকে থাকলে বা কারো দেখে থাকলে সাইকোলজিস্ট অথবা সাইকিয়াট্রিস্টদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।আত্মহত্যাকারী কখনই অপরাধী হতে পারেনা।অন্যান্য শারীরিক রোগেভুগে মানুষ যেমন মারা যায়,তেমনি একজন মানসিক রোগীও বিভিন্ন মানসিক রোগেভুগে মারা যেতে পারে।তাই আমাদের উচিত তাদের মানসিক রোগ সনাক্ত করে তার নির্মূল করা,তাকে আত্মহননের পথ থেকে সরিয়ে আনা।আর জনসাধারণের মধ্যে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।এ ব্যাপারে জনগণের সচেতনতাই পারে আত্মহত্যার মত মহাব্যাধির হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে।

 

Psycure

Scroll to Top